রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া মির্জা আজম (৩৬) নামে আরও এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এতে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হলো।

শনিবার (১১ মার্চ) সকাল পৌনে দশটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মির্জা আজম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া মির্জা আজম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

ছবি : নিহত মির্জা আজম

তিনি বলেন, এর আগে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন এবং এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এ নিয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে তিনজনের মৃত্যু হলো। বর্তমানে গুলিস্তানের ঘটনায় আমাদের এখানে সাতজন চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত মির্জা আজমের চাচা আবুল বাশার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাতিজা ওই ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে বাংলাদেশ স্যানিটারি নামে একটি দোকানে চাকরি করত। বিস্ফোরণে সে দগ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। আজ (শনিবার) সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

তিনি জানান, মির্জা আজম এক সন্তানের জনক ছিলেন। বর্তমানে তার স্ত্রী গর্ভবতী। মির্জা আজম হাতিরঝিল থানার মধুবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার গোসিংগা গ্রামে।

এসএএ/কেএ