আসামি শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও শ্যালকও
ঘরে ফিরতে ৫ লাখ টাকার শর্ত স্ত্রীর, যৌতুকের মামলা দিলেন চিকিৎসক
চট্টগ্রামে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে নিজের স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. জয়নাল আবেদীন ভূঁঞা নামে এক চিকিৎসক। তিনি নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম জাহেদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন- চিকিৎসক জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী ফারহানা আক্তার পিংকি, শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম, শ্বশুর মো. আব্দুল মতিন ও শ্যালক মো. জাহিদ হাসান।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ডা. মো. জয়নাল আবেদীন ভূঁঞার সঙ্গে ফারহানা আক্তারের ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। দুজনের এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। চিকিৎসক জয়নাল শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো উপহার নেননি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ফারহানা আক্তার তার স্বামীর কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের দামি উপহার ও টাকা দাবি করতে থাকেন। ফারহানা আক্তারের পরিবারের লোকজনও জয়নাল আবেদীনের কাছে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে টাকা দাবি করতেন। জয়নাল বিভিন্ন সময় তাদের টাকা ও উপহার দেন। স্ত্রী ফারহানা কয়েকমাস আগে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সেখানে গিয়েও তিনি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকা দাবি করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম জাহেদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী চিকিৎসকের স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা। তার পেটে দুটি জমজ বাচ্চা রয়েছে। অনাগত সন্তানদের কথা চিন্তা করে চিকিৎসক তার স্ত্রীকে একাধিকবার বাসায় আনার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন। তবে স্বামীর পরিবারে ফিরে আসার শর্ত হিসেবে ফারহানা ও তার পরিবার চিকিৎসকের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও কোনো সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং আজ বৃহস্পতিবার যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে পাঁচলাইশ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
যৌতুক নিরোধ আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে- যদি বিবাহের কোনো এক পক্ষ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, বিবাহের অন্য কোনো পক্ষের নিকট কোনো যৌতুক দাবি করেন, তাহলে এ আইনের অধীন তা একটি অপরাধ এবং সেজন্য তিনি অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
এমআর/এফকে