শর্ত ভঙ্গ করলে ইসকনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হবে
প্রবর্তক সংঘের ভূমি ব্যবহারের শর্ত ভঙ্গ করলে ইসকনের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংঘটির পরিচালনা কমিটির নেতারা। শনিবার (২০ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংঘের সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, প্রবর্তকের সম্পত্তি সদ্ব্যবহার করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সম্পত্তির যথেচ্ছ ব্যবহারে অনুমতি দিতে পারি না। ইসকনের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক জমি ও সংশ্লিষ্ট সব স্থাপনার মালিকানা প্রবর্তকের নিকট সংরক্ষিত থাকবে। ইসকন কর্তৃপক্ষ বা তাদের মনোনীত ব্যক্তি কোনোভাবেই প্রবর্তক সংঘের স্বার্থবিরোধী এবং সম্পত্তির নিরাপত্তা বিঘ্ন করার মতো কোনো কাজে লিপ্ত থাকতে পারবে না। প্রবর্তক সংঘ মনে করছিল, ইসকন তাদের স্বাক্ষরিত দালিলিক শর্তাদি পালন করবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বর্তমান সময়ে এসে তাদের ভিন্নরূপ পরিলক্ষিত হয় যা সম্প্রসারণমূলক, আগ্রাসী, আইন অমান্যসূচক, চুক্তিবিরোধী, প্রবর্তক স্বার্থবিরোধী, প্রকৃত ধর্মবিরোধী, সামাজিক ন্যায়নীতি বিরোধী এবং পেশিশক্তি প্রদর্শনের আধারস্বরূপ।
বিজ্ঞাপন
তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, ইসকনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তিনবার চিঠি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রবর্তক সংঘের জায়গায় নির্মিত ছোট নিরাপত্তা চৌকিটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৪ মার্চ শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে ইসকনের চিহ্নিত ৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কাজে বাধা প্রদান ও হামলা চালায়। এতে প্রবর্তক সংঘের কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই যেকোনো মূল্যে প্রবর্তক সংঘের শতভাগ স্বার্থ সংরক্ষিত হোক এবং প্রতিষ্ঠানিক, স্থানীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনোরূপ শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হোক। প্রবর্তক সংঘের স্বার্থবিরোধী যেকোনো কাজ করলে ইসকনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ইসকন এ মন্দির ত্যাগ করতে বাধ্য থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবর্তক সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালা, অধ্যাপক রনজিত কুমার দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
কেএম/এসকেডি