ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সামাজিক মালিকানায় বিশ্বাস করতেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। এবং তার আগেও তিনি মুক্তিযুদ্ধের যেই চেতনা, সমাজ পরিবর্তন ও রাষ্ট্র সংস্কার সেই চেতনা তিনি ধারণ করতেন।

তিনি বলেন, ১৬ই ডিসেম্বরের পরে তিনি উপলব্ধি করলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি, তার আরও কাজ আছে। বিশেষ করে দুটি ক্ষেত্রে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসামান্য অবদান রয়েছে। তার একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য, অপরটি শিক্ষা। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে গণবিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছেন। তিনি নারীদের উন্নয়নের জন্যও কাজ করেছেন। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মধ্যে শতকরা চল্লিশ ভাগ নারী। 

তিনি আরও বলেন, তিনি সামাজিক মালিকানায় বিশ্বাস করতেন। আর এটি আমাদের দেশে অনন্য দৃষ্টান্ত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যত অগ্রসর হবে, ততই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাফরুল্লাহর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে দুপুর ১টার আগে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর জানাজার উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়া হয়।

এইচআর/এনএফ