৯৯৯-এ ফোন : উদ্ধার হলেন অপহৃত ভারতীয় নাগরিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানা এলাকা থেকে মিন্টু দাস (৪৫) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের পর উদ্ধার করেছে সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটকও করা হয়েছে।
রোববার (২১ মার্চ) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের হালদার পাড়া থেকে হানিফ নামে এক জন শনিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। জানান, তার ভগ্নীপতি ঠিকাদার মোবারক হোসেন (৪৫) এবং ভগ্নীপতির ব্যবসায়ী অংশীদার ভারতীয় নাগরিক মিন্টু দাস আশুগঞ্জ-ত্রিপুরা চার লেনের সড়কের কাজ করছিলেন। তারা শুক্রবার (১৯ মার্চ) আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছিলেন ব্যবসায়িক কাজে। সেদিন রাতে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কলেজপাড়া এলাকায় যায়। সেখানে তারা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির চালককে অবস্থান করতে বলে পায়ে হেঁটে এগিয়ে যান। কিন্তু গভীর রাতে তারা ফিরে না এলে চালক তাদের ফোন করে উভয়ের ফোন বন্ধ পায়। পরে রাত দেড়টায় চালকের ফোনে ঠিকাদার মোবারক ফোন করে জানান, তার একটি কাজে আটকে আছেন সে যেন সেখানে অবস্থান করেন।
বিজ্ঞাপন
এরপর শনিবার ভোরে ভারতীয় নাগরিক মিন্টু দাসের ফোন থেকে আশুগঞ্জে তাদের আরেক ব্যবসায়ী অংশীদারের কাছে একটি এসএমএস যায়। ম্যাসেজে মিন্টু দাস জানান, তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের ছাড়িয়ে আনতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, নাহলে তাদের মেরে ফেলা হবে। ম্যাসেজে ১০ লাখ টাকা রেডি করে রাখার জন্য বলা হয়।
সাত্তার বলেন, কলারের এমন অভিযোগ শুনে ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেন। একইসঙ্গে বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে জেলা পুলিশের একাধিক টিম অপহৃতদের উদ্ধারে মাঠে নামে।
বিজ্ঞাপন
অবশেষে তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে অবস্থান চিহ্নিত করে রোববার রাত সাড়ে ৩টায় অপহৃত দুজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) ইশতিয়াক ৯৯৯-কে ফোনকলে জানান, অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতাহা ভুইয়া ওরফে ইয়াম (২২) ও মতিন ওরফে রবিন (২০) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দুই বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এমএসি/এফআর