স্ত্রীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে জাল ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতে বিপাকে পড়েছেন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সেলস অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট অফিসার মনিরুজ্জামান চৌধুরী।

অভিযোগ রয়েছে, মনিরুজ্জামান চৌধুরী ভুয়া চাহিদাপত্রের মাধ্যমে স্ত্রীর নামে সরবরাহকারী লাইসেন্সে একটি জাল ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ঢাকায় পাঁচ তলা বাড়ি, দুটি গাড়ি, দুটি ট্রাকসহ ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা।

আর এমন অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মনিরুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী চৌধুরী শামীমা ইয়াসমিন।

অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান গত সপ্তাহে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে স্বামী-স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দিয়েছেন। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

ওই চিঠিতে তাদের সোমবার (২২ মার্চ) সকালে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাড়ি ও বাড়িসহ বেশকিছু সম্পদের নথিপত্র চেয়েছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

চিঠিতে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সেলস অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী ভুয়া চাহিদাপত্রের মাধ্যমে স্ত্রীর নামে সরবরাহকারী লাইসেন্সে একটি জাল ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

চিঠিতে যে সব নথি-পত্র চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ঢাকার কাফরুলের নর্থ ইব্রাহিমপুরে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ ও ক্রয় সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র, প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ -৩১৮৬৭৮), দুটি ট্রাক ও একটি নোহা গাড়ির ক্রয় সংক্রান্ত কাগজপত্র, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বদলি নিয়ে আদালতে রিট সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র, মনিরুজ্জামান ও তার স্ত্রী চৌধুরী শামীমা ইয়াসমিন ও কন্যা হিমির নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে থাকা সঞ্চয়পত্র, এফডিআর বা অন্যান্য হিসাবের সব কাগজপত্র এবং তাদের আয়কর নথি, প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্টের কপি

আরএম/এসএম