মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় দিনের সকালে দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম। তবে বিকেলে দর্শনার্থী বাড়বে বলে মনে করেছেন মেলায় অংশ নেওয়া স্টল মালিকরা। এদিকে এক জায়গায় দেশের ঐতিহ্যবাহী সব খাবার পেয়ে আনন্দিত ক্রেতারা। 

শুক্রবার (৫ মে) মেলার দ্বিতীয় দিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ত পার্কে বিভিন্ন স্টলে ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা।

এতে অংশ নিয়েছে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। সেই দোকানের ম্যানেজার চয়ন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা প্রতিষ্ঠা করেন খোকা ঘোষ। বর্তমানে স্বপন ঘোষ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন। প্রতি কেজি চমচম ৪০০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আশানুরূপ ক্রেতা নেই। এ ধরনের মেলায় আমরা এবারই প্রথম অংশ নিয়েছি। তবে ঢাকাতে আমাদের কাস্টমার রয়েছে।

মেলায় দেখা গেল দেড়শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা আদি ও অকৃত্রিম মেসার্স গোপাল পাল প্রসিদ্ধ মণ্ডার দোকান। ১৮২৪ সালে মুক্তাগাছায় দোকানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

মেলায় স্টল নেওয়া দোকানটির মালিক রাজেশ পাল বলেন, প্রথম দিনে মোটামুটি ক্রেতা ছিল। মেলা উপলক্ষ্যে প্রতি কেজি মণ্ডার দাম ৯০০ টাকা। আর ঘি প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। মেলা ছাড়া আমাদের এলাকায় মণ্ডা ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়।
 
তিনি বলেন, মানুষ এখানে এসে নানা খাবারের স্বাদ নিচ্ছে। এখানে দেশের বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবাই অল্প অল্প করে সব কিছু কেনার চেষ্টা করছেন। 

নওগাঁর মানওগাঁর প্যারা সন্দেশ দোকানের মালিক সৈকত দাশ বলেন, আমাদের দোকানে চার রকমের সন্দেশ রয়েছে। রস কদম ৫০০টাকা কেজি। খেজুর সন্দেশ কেজি ৬০০ টাকা, প্যারা সন্দেশ কেজি ৫০০ ও ক্ষীর সন্দেশ কেজি ৫০০ টাকা। আমাদের বিখ্যাত হচ্ছে প্যারা সন্দেশ। 

পুরান ঢাকা থেকে ফেস্টিভ্যালে ঘুরতে এসেছেন মো. আব্দুল খালেক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখান থেকে আমি কয়েক জাতের মিষ্টি কিনেছি। সবগুলো বিখ্যাত খাবার একসঙ্গে পেয়ে আমি আনন্দিত। পুরান ঢাকা থেকে মিষ্টি ও চুই ঝাল কিনতে এসেছি। 

এছাড়া দেখা মিলল মেলায় স্টল নেওয়া যশোরের সাদেক গোল্লা। এটি যশোরের বিখ্যাত গোল্লা। সেই দোকানের দায়িত্বে থাকা মাসুম বিল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা মূলত গরুর দুধের মিষ্টি। রসগোল্লাটাই আমাদের প্রধান মিষ্টি। সব কাস্টমার এখানে সাদেক গোল্লা কিনতে আসেন। প্রতিটি সাদেক গোল্লা ৩০ টাকা ও ৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়।

এমএসআই/কেএ