হিজড়াদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলে শাস্তি দেওয়া উচিৎ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, হিজড়া বা লিঙ্গান্তরিত মানুষের কল্যাণে প্রয়োজন সামাজিক ও পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। জন্মের জন্য যার কোনো দায় নেই, তাকে কেন পরিবার বা সমাজ আলাদা করবে? হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ার কারণে পরিবার থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় শাস্তি আরোপ করা উচিৎ।
সেফটি নেট প্রকল্পে হিজড়া বা লিঙ্গান্তরিত মানুষদের আরও গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ অংশগ্রহণ সংক্রান্ত অনলাইন পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এ অনলাইন পরামর্শক সভার আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
ভাচুর্য়াল এ সভায় নাছিমা বেগম বলেন, পরিবার ছাড়া সন্তানের বেড়ে ওঠা একজন সন্তানের চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন। হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ আইন কাঠামো।
তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এ সংশ্লিষ্ট থিমেটিক কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে এবং শিগগিরই সেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বিজ্ঞাপন
সভায় সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবার থেকে দূরে থাকার কারণে হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন হচ্ছে। হিজড়াদের জীবনমান উন্নয়ন সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ নীতিমালার পাশাপাশি হিজড়াসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় একটি আইন থাকা প্রয়োজন বলে জানান সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল।
ভার্চুয়াল এ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ‘বাংলাদেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা দেন।
সভায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি শিক্ষক, আইনজীবী, সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা ও কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আজহার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জেইউ/এনএফ