ডাব্লিউবিবির মতবিনিময় সভা

দৈনন্দিন জীবনে সামাজিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিকীকরণের মাধ্যমে একদিকে যেমন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে, তেমনি জনগণের মধ্যে সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ফলে সামাজিক অপরাধের প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। এ বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি।

বর্তমানে ঢাকায় সামাজিকীকরণের সুযোগ খুবই অপ্রতুল। কিছু ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে এলাকায় সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব। এলাকার কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে এলাকাবাসীর জন্য লাইব্রেরি ও ব্যায়ামাগার তৈরি করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। 

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বেলা এগারোটায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের আয়োজনে ‘এলাকাভিত্তিক সামাজিকীকরণের গুরুত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাব্লিউবিবির পরিচালক গাউস পিয়ারী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন। ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা নাঈমা আকতার। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মানবিক সাহায্য সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. বোরহানউদ্দিন, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. তাহাজ্জুত হোসেন, সাকসেস মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব খান, রায়ের বাজার এলাকার সমাজসেবক নুরুল হক মন্ডল, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমুখ। এসময় এলাকাবাসী তাদের বর্তমান সমস্যাসমূহ এবং সেগুলো সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় নাঈমা আকতার বলেন, এলাকাবাসীর শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য, সম্প্রীতি তৈরি, সামাজিক নিরাপত্তা, জীবনমান উন্নয়ন এবং সর্বোপরি প্রাণবন্ত নগর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সামাজিকীকরণের গুরুত্ব অপরিসীম। এলাকার মধ্যে সামাজিকীকরণের ক্ষেত্র তৈরি করা প্রয়োজন। পরিশেষে তিনি রায়েরবাজার এলাকায় শব্দ দূষণ রোধে যে আইন প্রণয়ন হয়েছে, তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, সামাজিকীকরণ এবং নগরবাসীর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে নগর পরিকল্পনার কাজ করতে হবে। মানুষের অধিকার কীভাবে নিশ্চিত হবে সে বিষয়টি পরিকল্পনায় প্রাধান্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের পিছনে ছুটলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পিএসডি/আরএইচ