রশিদ হত্যা: জাপানি হান্নানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা
রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আইনুসবাগ (চাঁদনগর) এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে নিহত আব্দুর রশিদের বড় ভাই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৪২। মামলার এজাহারে জাপানি হান্নানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনসহ মোট ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অস্ত্র আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম। এই মামলার একমাত্র আসামি জাপানি হান্নান। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি শটগান ও একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। দুটি অস্ত্রই হান্নানের লাইসেন্স করা বলে জানা গেছে।
দুই মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. হাফিজুর রহমান রিয়েল।
বিজ্ঞাপন
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হত্যার মামলায় এরইমধ্যে ৮ জন গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন- প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নান ওরফে সাইনবোর্ড হান্নান, মো. একরামুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ইমরান, আল-আমিন প্রধান, জহুরুল ইসলাম রিপন, খোরশেদ আলম, মো. মোশাররফ হোসেন ও মো. নুরুন নবী।
তিনি বলেন, বুধবার রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থল থেকে জাপানি হান্নানসহ তার ৮ সহযোগীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তার আরও কয়েকজন সহযোগী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এডিসি হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রেফতার ৮ আসামিকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
বুধবার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণখানের আইনুসবাগ (চাঁদনগর) এলাকার বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রশিদকে গুলি করে হত্যা করে জাপানি হান্নান।
হান্নান তার লাইসেন্স করা শটগান দিয়ে রশিদ ও সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে রশিদ মারা যায়। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে জাপানি হান্নানের গাড়িতে আগুন দেন। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল। এরপর হান্নানের বাড়ি জাপানি কটেজ থেকে তাকেসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। পরে ওই এলাকা থেকে হান্নানের আরও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে নিহত আব্দুর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে দক্ষিণখানের কেসি হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত আব্দুর রশিদ থাকেন রাজধানীর আশকোনার পানির পাম্পের পাশে ৪৩৪ নম্বর নিজ বাড়িতে। পরিবারে তার স্ত্রী, দুই সন্তান (এক ছেলে ও এক মেয়ে) রয়েছে। আগে তিনি গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কারখানা পরিচালনা করতেন। সেটি বন্ধ করে তিনি বর্তমানে তার বাড়ি ও মার্কেট দেখাশোনা করতেন।
জেইউ/জেডএস