সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’ থিমের অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। উদযাপন অনুষ্ঠানে মুজিব কোট পরে উপস্থিত হন নরেন্দ্র মোদি। তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত আছেন।

‘মুজিব চিরন্তন’ শিরোনামে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজ শেষ দিন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আলোচনা অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজেও যোগ দেবেন তিনি।

এর আগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে নরেন্দ্র মোদিকে বহন করা বিমানটি। ভারতীয় সময় সকাল পৌনে ৮টায় তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার পথে উড্ডয়ন করে।

সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে বিমান থেকে নামেন নরেন্দ্র মোদি। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে ফুল হাতে স্বাগত জানান। তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ঢাকায় হোটেলে পৌঁছানোর পর নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ঢাকায় দেখা করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে সাকিব জানিয়েছেন, মোদির সঙ্গে দেখা হওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন তিনি।

সাকিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি আশা করি তার সফর দুই দেশের জন্যই ফলপ্রসূ হবে। ভারতে তার নেতৃত্ব অসাধারণ। আমি আশা করি তিনি ভারতের উন্নতির জন্য ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবেন এবং আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দিন দিন আরও ভালো হবে।’

এমএআর/এফআর