দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে উদযাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সরকার সংকীর্ণভাবে ও দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে উদযাপন করেছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন এম হাফিজ উদ্দিন খান, আলী ইমাম মজুমদার, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, পারভীন হাসান, আনু মুহাম্মদ, বদিউল আলম মজুমদার, সি আর আবরার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সারা হোসেন, আসিফ নজরুল, শহিদুল আলম, হাসনাত কাইয়ুম, নূর খান, শিরীন হক, জাকির হোসেন, লুবনা মরিয়ম, শারমীন মুরশিদ, ফেরদৌস আজিম, নায়লা জামান খান ও রেহনুমা আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিতর্ক থাকায় তাকে বাদ দিয়ে সেই দেশের রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো সংগত হতো বলেও মনে করেন তারা।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, শুক্রবার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ গৌরবময় দিনটি সরকার সংকীর্ণভাবে ও দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে উদযাপন করেছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সাহায্য বা সহযোগিতার কথা মনে রেখে ভারতের কোনো উপযুক্ত প্রতিনিধিকে এ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আমন্ত্রণ করা প্রত্যাশিত ছিল। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরাজমান বিভিন্ন বিতর্কের কারণে দেশটির রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তা সংগত হতো।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদ করার অধিকার বাংলাদেশের নাগরিকদের রয়েছে। এ প্রতিবাদ করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যেভাবে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা উদ্বেগজনক। হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন মাদ্রাসাছাত্রের নিহত হওয়া ঘটনা মর্মান্তিক। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ী পুলিশ সদস্য, কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন তারা।
তারা বলেন, আমরা মনে করি, এসব হামলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতার উৎসবকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যেকোনো প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক স্বাধীনতা ও অধিকার জনগণের রয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সময়ে গুলি চালিয়ে ও নির্যাতন করে এ অধিকার রুদ্ধ করার অপচেষ্টা এ দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি নির্মম উপহাস।
এএইচআর/এসকেডি