শীতের সকালে সাইকেলে চড়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাত্রা/ ছবি সংগৃহীত

ক্রমেই দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমার মধ্য দিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পাশাপাশি বাড়ছে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এলাকার সংখ্যাও। যদিও অধিকাংশ এলাকায় দেখা মিলছে সূর্যের।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান রোববার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শীতকালে মাঝেমধ্যে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অনেক বেশি ওঠানামা করে থাকে।

তিনি বলেন, আগামীকালও (সোমবার) দেশের একাধিক স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। হয়তো আরও দুদিন থাকতে পারে এর তীব্রতা। সঙ্গে থাকবে ঘন থেকে মাঝারি কুয়াশা। তবে গত কয়েকদিন আগে বয়ে যাওয়া এবারের শীতের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের মতো এ শৈত্যপ্রবাহটি বড় না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গতকাল (শনিবার) দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ এবং শ্রীমঙ্গল অঞ্চলে বয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহ। এর সঙ্গে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত নতুন করে যোগ হয়েছে, ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, খুলনা বিভাগের যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালী। আর উত্তরে যোগ হয়েছে সৈয়দপুর ও তেঁতুলিয়া জেলা।

আজকের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য জায়গার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।

সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বদলগাছী ও রাজশাহীতে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬০ শতাংশ।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসলংগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে এ বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর শেষ হতেই আবার শুরু হয়েছে এ শৈত্যপ্রবাহটি।

একে/এফআর