রাইড শেয়ারের আড়ালে ইয়াবার হোম ডেলিভারি দিতেন তোফাজ্জল
মো. আহসান হাবীব হাসান ও মো. তোফাজ্জল হোসেন (ডানে)
কক্সবাজার ভিত্তিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো: (দক্ষিণ) কার্যালয়। এসময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১১ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. আহসান হাবীব হাসান (৪৮) ও মো. তোফাজ্জল হোসেন (২৮)। আহসান কক্সবাজার ভিত্তিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য আর মো. তোফাজ্জল হোসেন বাইক রাইডার ও রাজধানীতে ইয়াবার হোম ডেলিভারিম্যান।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলগাঁও এবং তুরাগ থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো: (দক্ষিণ) সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, গতকাল (শুক্রবার) রাতে খিলগাঁওয়ের খিদমাহ হাসপাতালের সামনে থেকে আট হাজার পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজার ভিত্তিক ইয়াবা পাচারকারী মো. আহসান হাবীব হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গতকাল তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ ইয়াবার পারসেল সরবরাহকারী মো. তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আহসান হাবীব হাসান একজন পেশাদার মাদক পাচারকারী। কক্সবাজার থেকে প্রতি মাসে ছয়-সাতটি চালানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে একজন ট্যুরিস্টের ভূমিকায় বারবার কক্সবাজার যাওয়া-আসা করেন। সড়কপথে বাসে কিংবা ট্রেনে এবং আকাশপথে ইয়াবা পাচার করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিল।
সে কক্সবাজারের বাজারঘাটা এলাকার মাদক কারবারি ঠান্ডা মিয়ার সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। অপর আসামি তোফাজ্জল হোসেন একজন বাইক রাইডার। তিনি রাইড শেয়ারের ছদ্মবেশে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার হোম ডেলিভারি দিতেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আগে মাদক মামলা ছিল কি না প্রাথমিকভাবে তা যাচাই করা না গেলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে, যার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলমান আছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও এবং তুরাগ থানায় পৃথক মামলা করা হয়েছে।
এমএসি/এসএসএইচ/