সচিবালয়েই উপেক্ষিত সরকারি নির্দেশনা
অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আগের মতোই মানুষের ভিড় দেখা গেছে
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ১৮ দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ৫০ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অফিস পরিচালনার নির্দেশনাও ছিল। আজ বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। যদিও প্রথম দিনে খোদ সচিবালয়েই সরকারি এ নির্দেশনা উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে অন্যান্য দিনের মতো একই চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে এখনও সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হয়নি। তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ চলছে।’
একই কথা বলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আজ কার্যকর না হলেও দ্রুতই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সচিবালয়ের ভেতরে কর্মকর্তাদের সারি-সারি গাড়ি রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বুধবার দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়সহ আরও কিছু মন্ত্রণালয় ঠিক আছে। কাজ অনুযায়ী কারা অফিসে থাকবে, কারা বাসায় থাকবে, সে রোস্টার করা হচ্ছে। আজ-কালের মধ্যেই সেটি করা যাবে। কাজের ভলিউম অনুযায়ী এগুলো ঠিক করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কাজ, অনেক বিষয় থাকে। আমরা শুরু করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হয়তো ৭০ ভাগ হয়ে গেছে। ৫০ জন থাকার কথা, কোথাও-কোথাও ৭০ জন আছে, আজকের দিনের জন্য। আবার অনেক জায়গায় ঠিক ৫০ জনই আছে। এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৫০ ভাগ জনবল কার্যকর করার বার্তা পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের কাজের পরিধি অনুযায়ী রোস্টার করতে হবে। আসলে হঠাৎ করে কিছু বন্ধ করা যায় না। কাজের একটি লক্ষ্য থাকে। হুট করে বন্ধ করতে গেলে সমস্যা হয়ে যাবে।’
গত সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে অফিস চালানোর নির্দেশনায় বলা হয়, জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানাগুলো ৫০ ভাগ জনবল নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী,অসুস্থ,বয়স ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসএইচআর/এসকেডি/জেএস