ধানমন্ডিতে মোটরসাইকেল চালকদের সড়ক অবরোধ
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকরা। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ধানমন্ডি থানা সূত্র জানিয়েছে, রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার প্রতিবাদে কয়েকশ মোটরসাইকেল চালক ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকার সোবাহানবাগ মসজিদের সামনের সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এর ফলে নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ও গাবতলী রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অবরোধের কারণে রাস্তার উভয় পাশেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মোটরসাইকেল চালকদের অভিযোগ, রাজধানীতে বাস-সিএনজিসহ সব ধরনের পরিবহনে যাত্রী চলাচল করছে। শুধুমাত্র রাইড শেয়ারিং সেবা সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাই, দ্রুত যেন আবার এ সেবা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আসমা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বেলা ১১টা থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। ঘটনাস্থলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়েছেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।’
এদিকে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার প্রতিবাদে যাত্রাবাড়ীতে মিছিল করেছেন মোটরসাইকেল চালকরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ মিছিল করেন তারা। বিক্ষোভকারী বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল চালক মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে গিয়েছেন।
মোটরসাইকেল চালক স্বপন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা রাইড শেয়ারিং করে জীবিকা নির্বাহ করি। এটি বন্ধ: হয়ে গেলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। এ কারণে আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি।’
মিছিল থেকে বিক্ষোভকারী মোটরসাইকেল চালকরা রাইড শেয়ারিং বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মিছিলের সামনে থাকা মোটরসাইকেল চালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে যাব। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চালকরা একত্রিত হয়ে রাইড শেয়ারিং বন্ধের প্রতিবাদ করব।’
সম্প্রতি, করোনার সংক্রমণ রোধে ১৮টি নির্দেশনা দেয় সরকার। এর আলোকে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য মোটরসাইকেলের রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার নির্দেশনা দেয় বিআরটিএ।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিআরটিএ’র উপপরিচালক (প্রকৌশল শাখা) বিমলেন্দু চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত (আপাতত দুই সপ্তাহ) রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
এমএসি/এসএসএইচ/জেএস