বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া নিত্যপণ্যের মূল্য আগের মতো স্বাভাবিক বা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সম্প্রতি হঠাৎ দেশে চাল, ভোজ্য তেল, আটা, শুকনো মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এসব নিত্যপণ্যের মূল্য আগের মতো স্বাভাবিক/সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। ভবিষ্যতে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সময়োপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী।

সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য হঠাৎ করে বৃদ্ধি করার প্রবণতা দেখা যায়। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশী জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে পাঁচ হাজার ২০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ও মালদ্বীপ ছাড়া বাকি সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ভারতের সঙ্গে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য ঘাটতি চার হাজার ৬৯৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে এক হাজার ২৪৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিপরীতে আমদানি করেছে ছয় হাজার ৪৫৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের রফতানি ৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমদানি ৯ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার; ভুটানের সঙ্গে রফতানি ৪ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমদানি ৪০ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার; ভারতের সঙ্গে রফতানি ১০৯৬ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমদানি ৫৭৯৩ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার; নেপালের সঙ্গে রফতানি ৪৬ দশমিক ০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমদানি ৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার; পাকিস্তানের সঙ্গে রফতানি ৫০ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমদানি ৫৪৩ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার; শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রফতানি ৩৮ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমদানি ৫৪ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার এবং মালদ্বীপের সঙ্গে রফতানি ৫ দশমিক ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমদানি ১ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার।

কুষ্টিয়া-১ আসনের এমপি আ. ক. ম. সরওয়ার জাহানের প্রশ্নে জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩৯ হাজার ৬৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বিপরীতে রফতানি হয়েছে নয় হাজার ২৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।

ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানান, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো নারী কর্মীর সংখ্যা নয় লাখ ২০ হাজার ৯৬৩ জন।

আরও পড়ুন: জনসমাগমটা যেন না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ

এইউএ/এসএসএইচ