মোটরসাইকেলের রাইড শেয়ারিং বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন মোটরসাইকেল চালকরা। তারা দ্রুত এ সেবা চালুর দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একে একে জড়ো হয়ে কয়েকশ বাইকার রাইড শেয়ারিং চালু এবং মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের মামলার প্রতিবাদ জানান। 

আন্দোলনকারী বাইকার এনায়েত উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পুলিশ বাইকের পেছনে কাউকে পেলেই ৩-৫ হাজার টাকার মামলা দিচ্ছেন। কোনো কিছুই জিজ্ঞেস করছেন না। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।’

রামপুরা থেকে আসা রূপক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেটের দায়ে বাইক চালাই। আমরা তো আর চুরি করি না। আয় না হলে চলব কী করে। কে চালাবে আমাকে, আমার পরিবার-পরিজনকে? সরকার কি কোনো সহায়তা দেবে?

মিরপুর থেকে আসা সাকিব খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা রাইড শেয়ারিং চালু চাই। সব কিছু চলছে, আমাদেরটা বন্ধ করে কী লাভ?’

প্রেসক্লাব এলাকা ছাড়াও রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন রাইডশেয়ারিংয়ে যুক্ত মোটরসাইকেল চালকরা।

এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বেলা ১১টা থেকে মোটরসাইকেল চালকরা ধানমন্ডি, শাহবাগ ও প্রেসক্লাব অবরোধ করে। আন্দোলনকারীদের অনেকে আমাদের কাছে দাবি করে রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আয় করা টাকা দিয়ে খরচ যোগানোর পাশাপাশি লেখাপড়া করছেন তারা। অনেকে এই আয় দিয়ে সংসার চালাচ্ছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে মহামারি রোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। পরে তারা তাদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে রাস্তা ছেড়ে চলে গেছেন।

সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ রোধে ১৮টি নির্দেশনা দেয় সরকার। এর আলোকে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য মোটরসাইকেলের রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার নির্দেশনা দেয় বিআরটিএ।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত (আপাতত দুই সপ্তাহ) রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।

সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন ও গণজমায়েত নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়।

এমআই/এমএসি/এসএসএইচ/জেএস