গত ১২ বছরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব থাকার বিধান কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে তা জানতে চেয়ে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিশন সভা শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

কমিশন সভায় নির্ধারিত এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলগুলো সব শেষ অগ্রগতি ইসিকে জানায়নি। এখন কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে দলগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে। বিদ্যমান আরপিওর মধ্যে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আইন সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরপিওর ৯০ খ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কমিটির সব দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে ২০২০ সাল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এখন ইসিতে ৪০টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। কিন্তু ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের শর্ত কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। গণফ্রন্ট ও সংস্কৃতিক মুক্তিজোট নামে ছোট দুটি দল সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রাখার দাবি করলেও তা যাচাই করেনি নির্বাচন কমিশন। এ বাস্তবতায় আইন সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও সময় দেওয়ারও প্রস্তাব আসে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুপারিশ অনুযায়ী শর্ত পূরণে আরও ১০ বছর সময় দিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাবনা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। 

বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় বিদ্যমান ভোটার তালিকায় দ্বৈত ভোটারদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা না দিয়ে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মামলা দেওয়ার আগে কমিটি পর্যালোচনা করা হবে। ঢালাও মামলা দেওয়া হবে না, যাচাই-বাছাই করা হবে। দ্বৈত ভোটারের বিষয়টি উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে আবেদন পর্যালোচনা করে শুনানি করে নিষ্পত্তি করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি।

এসআর/এনএফ