বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মাস্টারপ্ল্যানটির অনুমোদন দেন। অনুমোদন পাওয়া মাস্টারপ্ল্যানটি চলতি বছর অনুষ্ঠেয় সংগঠনটির পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে চূড়ান্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তার সহযোগী হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন যুক্ত ছিলেন। এতে চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিনেশ গুনাবর্ধনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এ অঞ্চলের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মাল্টি-মোডাল কানেক্টিভিটির ওপর জোর দেন। এজন্য আইনি চুক্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার বিষয়েও গুরত্বারোপ করেন তিনি।

চলতি বছর বিমসটেকের পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে এবং সমঝোতা স্মারকসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ অঞ্চলে সন্ত্রাস মোকাবিলা, প্রযুক্তি ও কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতার খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে বিমসটেকে যোগ দেওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে মোমেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংগঠনটিকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিমসটেকের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। চলতি বছর এ আঞ্চলিক জোটটির শীর্ষ সম্মেলন শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন নেপালে অনুষ্ঠিত হয়।

এনআই/আরএইচ