বন্ধ হতে পারে ইসির কার্যক্রম, প্রজ্ঞাপনের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রথম ধাপে ভোট ইতোমধ্যেই স্থগিত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে লক্ষীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন ও ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনও স্থগিত করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
তবে এবার করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছে। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় এবারের লকডাউনে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইসির কার্যক্রম। তবে অনলাইন সেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে ইসির সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞাপন
ইসির জনসংযোগ শাখার যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইসির কার্যক্রম চলবে কি না সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সবকিছুই সরকারের প্রজ্ঞাপন ঘোষণার পর জানা যাবে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার ইসির ৭৮তম সভায় সবধরনের নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেমন, সিলেট-৩ শূন্য আসনের নির্বাচন ও আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য লক্ষ্মীপুর-২ আসন নির্বাচন এবং প্রথম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও ষষ্ঠ ধাপে পৌরসভা নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই নির্বাচনগুলো যে পর্যায় থেকে স্থগিত হয়েছে সেই পর্যায় থেকে পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে পাবনা সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন ৪ এপ্রিল (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ মার্চ ইসি নির্বাচন উপলক্ষে কর্মকর্তাদের ট্রেনিং বন্ধ করেছে। করোনা বেড়ে যাওয়ায় কমিশনের কর্মকর্তারা ৫০ শতাংশ অফিস করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
এসআর/ওএফ