রাজধানীর ভাষানটেকে অজ্ঞাতনামা নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ ঘটনায় রোববার রাতে (৪ এপ্রিল) মোহাম্মদপুর থানার আসাদগেট এলাকা থেকে অভিযুক্ত আবু জিয়াদ রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বর ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ইমার্জেন্সি গেইটের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভাষানটেক থানা পুলিশ ভিকটিমের আঙুলের ছাপ দিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর নিহতের মা থানায় এসে মরদেহ দেখে পুনরায় শনাক্ত করেন। ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার দিনই ভাষানটেক থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।

ভাষানটেক থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে ফিরোজ আল আনাম নামে একজনকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা এলাকা আটক করে ঢাকায় আনা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর থানার পশ্চিম কাজীপাড়া বসুন্ধরা রোডে তাদের অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেঘা এশিয়া স্কাইশপ অফিসের আশপাশে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সাড়ে ১০টায় ছেলেটি কাঁধে করে একটি কার্টন নিয়ে রিকশাযোগে চলে যায়। ভিডিও ফুটেজ দেখে ফিরোজ অভিযুক্ত রিপনকে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর আসাদ গেইট এলাকা থেকে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়।

ভাষানটেক থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার রিপন ৩১ মার্চ রাত ৮টায় মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় অর্ডারের পণ্য ডেলিভারি দেন। ফেরার পথে ভিকটিমকে তার অনলাইন ব্যবসা মেঘা এশিয়া স্কাইশপ অফিসের বাসায় নিয়ে যান। ওই সময় বাসায় আর কেউ ছিল না। সেখানে রিপনের সঙ্গে ভিকটিমের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রিপন উত্তেজিত হয়ে ভিকটিমের গলা চেপে ধরেন। এতে ভিকটিম মারা যান। পরে ভিকটিমের মরদেহ বস্তাবন্দী করে কার্টনের ভেতরে রেখে মিরপুর ১৪ নম্বরে ডেন্টাল কলেজের পাশে ফাঁকা জায়গায় রেখে পালিয়ে যান। অপরাধ স্বীকার করে সোমবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রিপন।

এসকেডি