মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে জেল-জরিমানা
মন্ত্রীসভার বৈঠক
মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে 'মহাসড়ক আইন, ২০২০'এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
সকাল সাড়ে দশটায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা সচিবালয় থেকে এতে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে মহাসড়ক আইন ছিল তা ১৯২৫ সালের। এটা হালনাগাদ করা দরকার ছিল। সেজন্য এ আইনটি পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের আইনকে রহিত করে নতুন এ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এ আইনের খসড়ায় ১৯টি ধারা ও ৪৬টি উপ-ধারা আছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনটির ৯ ধারার ঞ উপ-ধারায় বলা আছে, মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে কোনো রকম স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। যদি কেউ এটা ভঙ্গ করে তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
আইনের ব্যাখায় তিনি বলেন, যদি কেউ মহাসড়কে অবৈধভাবে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেন তাহলে সে ব্যক্তি দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর অস্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
মহাসড়কে খড় বা ফসল শুকানোতেও বিধিনিষেধ থাকছে এ আইনে। বিধান ভঙ্গ করলে ১ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আরও জানান, বিনা অনুমতিতে কেউ বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ড টাঙ্গাতে পারবে না। কেউ করলে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
এছাড়া ধীর গতিসম্পন্ন যানবাহন নির্ধারিত লেন ব্যতীত মহাসড়কের অন্য লেন ব্যবহার করতে পারবে না। করলে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, দেশের সব মহাসড়কই চারলেনে উন্নীত করা হবে। এটি একনেকের সিদ্ধান্ত।
এসএইচআর/এসআরএস