বিমানবন্দর থেকে ২৫০ কেজি ওজনের চতুর্থ বোমা উদ্ধার
একই স্থান থেকে ১৯ ডিসেম্বর উদ্ধার হওয়া বোমা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে মাটি খোঁড়ার সময় ফের ২৫০ কেজি ওজনের একটি জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। বোমাটি উদ্ধারের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ধ্বংসের জন্য বিমানবাহিনীর বোমা ডিজপোজাল ইউনিট এটি নিয়ে গেছে।
এ পর্যন্ত বিমানবন্দরের এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ করার সময় মোট চারটি ২৫০ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে বোমাটি উদ্ধার করা হয় বলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কনস্ট্রাকশন সাইটে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় সকালে বোমাটি ১০ ফুট মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগেও একই এলাকা থেকে একই ওজনের তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে সেগুলো বিমানবাহিনীর বোমা ডিজপোজাল ইউনিট নিয়ে গিয়ে ধ্বংস করে।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ করার সময় তৃতীয় বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছিল। ওইসময় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাইলিংয়ের কাজ করার সময় ১০ ফুট মাটির নিচ থেকে ২৫০ কেজি ওজনের একটি বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’র প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বোমাটি ধ্বংস করতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে ও ৯ ডিসেম্বর বিকেল টার্মিনালটির নির্মাণকাজে মাটি খোঁড়ার সময় দুটি বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে এসে বিমানবাহিনীর বোমা ডিজপোজাল ইউনিট সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে নিয়ে যায়। পরে রসুলপুরে বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে সেগুলো ধ্বংস করে বিমানবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
১৪ ডিসেম্বর উদ্ধার হওয়া বোমার বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেছিলেন, ‘বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চালানোর সময় উদ্ধার হওয়া ২৫০ কেজি ওজনের বোমাগুলো তাজা ছিল। মাটির অনেক গভীরে থাকায় এটি বিস্ফোরিত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের আমরা সতর্ক করে দিয়েছি যেন আবারও বোমা উদ্ধার করা হলে সেই জায়গাটি দ্রুত নিরাপত্তা বলয়ে আনা হয়। তারা যেন আগেভাগেই লোকজনকে সরিয়ে নেয়। এছাড়াও খনন কাজ করার সময় যেন শ্রমিকরা সাবধানতা অবলম্বন করে সেজন্য যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত বোমাগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এমএসি/এফআর