মোংলা বন্দরের রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োগ দেওয়া যাবে প্রতিষ্ঠান
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়ায় মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
সচিবালয় থেকে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালের সংসদ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে আইনগুলো ছিল সেগুলো বাতিল করার একটি সিদ্ধান্ত ছিল হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে। এজন্য ‘মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৬’ এর পরিবর্তে এই নতুন আইন নিয়ে আসা হয়েছে। এটা অনেকটা পায়রা বন্দর আইনের মতো। এখানে কতগুলো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেটা হলো প্রয়োজনে দেশের যেকোনো স্থানে কর্তৃপক্ষের কার্যালয় স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
বিজ্ঞাপন
কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা যাবে বলে জানান সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বন্দরে পণ্যবোঝাই সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বন্দরের কোনো স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিধি দিয়ে নির্ধারিত মেয়াদ, শর্ত ও পদ্ধতিতে অনুমতি দেওয়ার বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। আগের আইনে এটা ছিল না। টোল, রেট ইত্যাদি ফাঁকির জন্য দণ্ড, কোম্পানির অপরাধ সংগঠন, ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ- এগুলো রাখা হয়েছে। এখানে যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচার হবে। মোবাইল কোর্টেরও প্রভিশন রাখা হয়েছে।’
এদিকে, গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণের জন্য টাঙ্গাইলে সংরক্ষিত বনের ১১ হাজার ২৪৬টি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ধনুয়া-এলেঙ্গা এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়-নকলা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এ জেলার ৫৩ দশমিক ১৫ একর বনভূমিতে বিদ্যমান গাছপালা কাটা এবং অপসারণের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড- জিটিসিএল।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য শফিপুর বনের ভেতর এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপারে ১১ হাজার ২৪৬টি গাছ কাটতে পারবে।
এসএইচআর/জেডএস