প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে তুলে এনে কেরানীগঞ্জে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে বাসা থেকে বাজার করতে বের হলে ওই নারীর স্বামীর পূর্ব পরিচিত রাজুসহ (৪০) কয়েকজন একটি গাড়িতে তুলে কেরানীগঞ্জ নিয়ে যান। সেখানেই ধর্ষণ করা হয়।

পরে অচেতন অবস্থায় মমতাজ বেগম নামের আরেক নারী তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেকে) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঢামেক হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে তার শারীরিক পরীক্ষা চলছে।

উদ্ধার করে নিয়ে আসা মমতাজ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার বসুন্ধরা রিভারভিউ দিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় খালি প্লটে ঝোপের ভেতর দেখতে পাই। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তার স্বামীকে ও পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।’

ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে তার স্বামী নাজমুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দেড় মাস আগে রাজু নামের একজনের সঙ্গে আমার গাবতলীতে পরিচয় হয়। আমি গার্মেন্টে চাকরি করি। আমার বেতনের কথা শুনে সে আমাকে একটি ১৫-২০ হাজার টাকার চাকরি দিতে চায়। সে বলে আমিতো প্রায়ই যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় যাই। এরপর কয়েকদিন দেখা হয়েছে তার সঙ্গে। সকালে আমার বড় ছেলেকে আমি মাদরাসায় ভর্তি করার জন্য বের হই। আমার স্ত্রীও বাজার করা ও বাড়িতে বিকাশে ১১ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য বের হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তরমুজ কেনার সময় রাজু পেছন থেকে আমার স্ত্রীকে ডাক দিয়ে বলেন, ভাই কোথায় দেখা করব। তার গাড়িতে আরও ৩-৪ জন ছিলেন। পরে তাকে পানি খেতে বললে পানি খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর আর কিছু বলতে পারে না। তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও কাছে থাকা ১১ হাজার টাকা সবই নিয়ে গেছে তারা।’ 

অভিযুক্ত রাজুর বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার চুমুকদিয়া গ্রামে বলে জানান নাজমুল। রাজু ঢাকার মিরপুরে থাকেন। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম, ঘটনাটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায়। পরে বিষয়টি আমরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাকে জানিয়েছি।’

এসএএ/এফআর