যাত্রীরা হেঁটে আমিনবাজার ব্রিজের ওপারে যাচ্ছেন

চোর-পুলিশ খেলায় মেতেছেন রাজধানীর মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলের চালক ও যাত্রীরা। পুলিশের বাধা ও মামলার ভয়ে যাত্রী ও চালকরা কৌশলে চলে যাচ্ছেন আমিনবাজার। আর সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজিগুলো ছুটছে ঢাকার বাইরের নানা গন্তব্যে। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে চলবে কঠোর বিধিনিষেধ। তাই গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কর্মজীবীরা। আগের দফার চলমান বিধিনিষেধে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই অনেকে যাচ্ছেন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও সিএনজিতে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলী বাস কাউন্টার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকেই শত শত যাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। বাস বন্ধ থাকায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ব্যক্তিগত পরিবহনে যাত্রী পরিবহন করছেন অনেকে।

এই অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। গাবতলী ব্রিজ পর্যন্ত পুলিশের কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। তবে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঠিকই গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। ব্যক্তিগত পরিবহনের চালকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে যাত্রী তুলছেন। 

আমিনবাজার ব্রিজের ওপারে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রাইভেটকার চালক খসরু। তিনি বলেন, করোনার কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় আমরা ঢাকা থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করছি। কিন্তু পুলিশ গাবতলী এলাকায় খুব ঝামেলা করছে; মামলা দিচ্ছে। তাই আমিনবাজার ব্রিজের এপার থেকে যাত্রী নিচ্ছি। লকডাউনে সব বন্ধ থাকবে। কীভাবে সংসার চালাবো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। তাই লকডাউনের আগে একটু ইনকাম করে নিচ্ছি।

তিনি জানান, গত কয়েকদিনে বেশ আয়-রোজগার হয়েছে। আসলে অবস্থা এমন হয়েছে যে সরকারের সব নির্দেশনা মেনে চললে তারা খেতে পারবেন না। তাই কিছু নিয়ম না চাইলেও ভাঙতে হচ্ছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমিনবাজার ব্রিজের এপারে এসে তিনি দাঁড়িয়েছেন যাত্রী নেওয়ার জন্য। 

গাবতলীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. হাসনাত বলেন, সকাল থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা গাড়িগুলোকে মামলা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত আটজনকে যাত্রী পরিবহনের দায়ে মামলা দিয়েছি। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তারপরও কিছু কিছু মানুষ বের হয়ে যাচ্ছে।

এসআর/আরএইচ/জেএস