টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে তুরস্ক বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমি প্রায় এক বছর ধরে কাজ করছি। বাংলাদেশে বসবাস না করলে এদেশের অসাধারণ অগ্রগতি আসলে অনুধাবন করা কঠিন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে অনলাইনে সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব মানচিত্রে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্য রকম একটি দেশ। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ ডিজিটাল পদ্ধতির প্রায়োগিক ক্ষেত্রে খুবই তৎপর। তারা প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রযুক্তিবিষয়ক জ্ঞানার্জনে খুবই আগ্রহী। অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য এটা একটা মিরাকল
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান
তিনি আরও বলেন, উপনিবেশ থেকে স্বাধীকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জনতার সমর্থন তুরস্ক কোনো দিনও ভুলবে না। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তুর্কী বীর কামাল পাশাকে তার কবিতায় তুলে এনে তুরস্কের সাথে এই অঞ্চলের সেতুবন্ধন রচনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও তুরস্কের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও শতভাগ ইলেকট্রিক পণ্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশকে আমদানি করতে হতো। বর্তমানে শতভাগ ইলেকট্রিক পণ্য বাংলাদেশ উৎপাদন করছে
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রী বলেন, একসময় সারা পৃথিবী ছিল ইউরোপে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্যের ক্রেতা। বর্তমানে সেই চিত্র আর নেই। বাংলাদেশ এখন মোবাইল ফোন উৎপাদন করছে, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমেরিকা, নাইজেরিয়া ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। আগামী একবছরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইলে দেশের শতভাগ চাহিদা পূরণ হবে। এমনকি তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে কমপ্রেশার রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় দেশে রূপান্তর লাভ করেছে।
এমএইচএন/টিএম