বায়তুল মোকাররমে জুমা আদায়, উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব
জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা
কোনো ধরনের রাজনৈতিক কোলাহল ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। তবে, মসজিদে আগত অধিকাংশ মুসল্লির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন কোনো প্রবণতা দেখা যায়নি। মাস্ক পরতে দেখা গেলেও নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর সময় সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি ছিল অনেকাংশে উপেক্ষিত।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় জুমা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন বেলা ১টা ৪০ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়ান সিনিয়র ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
নামাজ শেষে করোনা থেকে মুক্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাজাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
সাধারণত বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের পর ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করলেও আজ ছিল তার ব্যতিক্রম। ফলে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল কম।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, করোনা প্রতিরোধে কোনো জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা ছিল না। মুসল্লিরা বাইর থেকে এসে সরাসরি সামাজিক দূরত্ব না মেনেই নামাজের কাতারে দাঁড়িয়ে যান। নামাজের পরে মোনাজাত শেষে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যান।
নামাজ শেষে কথা হয় সেগুন বাগিচার মুসল্লি আরাফাত রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত দুই-তিন সপ্তাহে বায়তুল মোকাররমে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নামাজ আদায় করা যাচ্ছে এখন। তবে, অধিকাংশ মানুষের মাস্ক থাকলেও নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর সময় সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হয়নি। কারণ, সামাজিক দূরত্ব মেনে এতো মুসল্লির নামাজ আদায় করা সম্ভব হতো না মসজিদের ভেতরে।
নামাজ শেষে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে পরিচালনা করেন মুফতি মিজানুর রহমান। মোনাজাতে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদের জন্য দোয়া এবং বঙ্গবন্ধুর নাজাত কামনা করেন। একইসঙ্গে করোনা থেকে বিশ্ববাসীর জন্য মুক্তি চান আল্লাহর কাছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
এএইচআর/এইচকে