আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম অপসারণের দাবি
পুরান ঢাকায় একের পর এক কেমিক্যাল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অসংখ্য মানুষ হতাহত হলেও আজ পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আবাসিক এলাকায় বেনামে হাজারও কেমিক্যাল দোকান, গুদাম ও কারখানা গড়ে উঠেছে, যা অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) অনলাইনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, গত ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবারও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অসংখ্য মানুষ। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেই দুর্ঘটনার আগুন কেড়ে নিয়েছিল ৭১টি তরতাজা প্রাণ। পবার একটি প্রতিনিধিদল সেসময় সরেজমিনে চুড়িহাট্টার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এর আগে ২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন, কারখানা ও দোকান সরানোর জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি যে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বজনরা এখনও স্বাভাবিক হতে না পারলেও পুরানো ঢাকা এখন স্বাভাবিক। আগের মতো রাসায়নিক গোডাউন রয়েছে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে। প্রতিটি বাড়ি যেন একেকটি বোমা ঘর।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, পুরান ঢাকায় প্রায় ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন আছে। এর মধ্যে বৈধ মাত্র আড়াই হাজার। এসব দুর্ঘটনা ঘটার পর অবৈধ রাসায়নিক গোডাউন সরানোর কথা আলোচনা হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। বাড়ির মালিকরা শুধুমাত্র বেশি ভাড়ার লোভে এসব গোডাউন ভাড়া দিয়ে থাকেন। ফলে কয়েকদিন পর পর ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারায় নিরীহ মানুষ।
পবার এই আলোচনা থেকে ৯ দফা সুপারিশ জানানো হয়। একইসঙ্গে বিপদজনক কারখানা ও গোডাউন দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আলোচনায় যুক্ত ছিলেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সম্পাদক মেসবাহ সুমন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল সোসাইটির সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ইউজিসি প্রফেসর ড. এম, মুহিবুর রহমান, পরিবেশ বার্তার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি