হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে উগ্র জঙ্গি সংগঠন আখ্যায়িত করে একে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ।  শনিবার (২৪ এপ্রিল) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে আহলে সুন্নাতের শীর্ষ আলেমরা বলেন, ২০১০ সালে হেফাজত জন্মের পর থেকেই সহিংসতা ছড়িয়ে যাচ্ছে। কখনও ইসলাম প্রচারক আল্লাহর ওলিদের মাজার-খানকাহ শরীফ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আবার কখনও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সুফিবাদী জনতাকে প্রকাশ্যে হামলার হুমকি দিয়ে তারা এদেশে উগ্র জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের সঙ্গে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের দূরতম সম্পর্কও নেই। 

সুন্নি আলেমরা আরও বলেন, ইসলাম হেফাজতের নামে উগ্র হেফাজতিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের উচ্চ বিলাস ও ধ্বংসাত্মক  কর্মকাণ্ডে গোটা আলেম সমাজ আজ লজ্জিত হয়েছে। 

বিবৃতিতে তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, হেফাজতকে উগ্র জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করুন। দেশে প্রচলিত শিক্ষানীতি, আইন ও নীতিমালা বিরোধী কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডগুলোর উপর পরিপূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন।

বিবৃতিতে আহলে সুন্নাতের আলেমরা বলেন, ইসলামের নামে সামাজিক অনাচারে যুক্ত হওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা, জানমালের ক্ষতিসাধন করা ইসলাম সমর্থন করে না। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের কাছে দেশ-মিল্লাত-মাযহাব কখনও নিরাপদ নয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুহাম্মদ মুঈনুদ্দীন আশরাফী, মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলাহ, অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ অছিয়র রহমান, শাইখুল হাদিস আল্লামা সোলাইমান আনসারী, অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি আব্দুল বারী জিহাদি, আল্লামা এম এ মান্নান, অধ্যক্ষ আল্লামা নুরুল আলম হেজাজিসহ আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন পদে থাকা ৫৫১ জন শীর্ষ আলেম।

কেএম/ওএফ