আগামী ২৮ এপ্রিল চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আর ২৯ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালাতে চান মালিকরা। তবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

শনিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে সরকারের কাছে লঞ্চ চালু করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধিসহ সবকিছু মেনেই আমরা লঞ্চ চালাতে চাই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনাকালীন সময়ে আমাদের মন্ত্রণালয় এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় নৌযান চলার, আমরা মন্ত্রণালয় দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন করব। 

তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়ে সরকারের একটি পরামর্শক কমিটি রয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।  

এদিকে, জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। 

বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

অন্যদিকে, ২৮ এপ্রিলের পর গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে সরকারি আদেশ জারি হলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৩৫৬টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। এগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। আর পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অঞ্চলেই রেলপথ সংস্কারের কাজ চলছে পুরোদমে।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছে। ট্রেন চলাচল শুরুর জন্য আমরা তৎপর আছি। কারণ সরকার নির্দেশ দিলে ২৮ এপ্রিলের পর যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।

এসএইচআর/জেডএস