লজ্জায় অনেকে খাদ্য সহায়তার বিষয়ে বলতে পারেন না। তারা ৩৩৩-এ ফোন দিলে আসন্ন ঈদে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। 

রোববার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগােষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন ক্রয় করা হবে। টিআর বা কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মােবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মােকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ডা. মো. এনামুর রহমান জানান, কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে 'লকডাউন' এর কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি দেশের সব সিটি করপোরেশনের অনুকূলে শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য আরও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া এসব অর্থের মাধ্যমে শিশু খাদ্য কিনে তা বিতরণ করা হবে। এর ফলে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।

সরকারের এটুআই প্রকল্পের আওতায় '৩৩৩ কল সেন্টার’ জাতীয় তথ্য ও সেবা দিতে কাজ করছে, যার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। করোনাভাইরাসের এ সংকটের সময়ে দেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হেল্পলাইনে পরিণত হয়েছে কল সেন্টার ‘৩৩৩’।


এসএইচআর/জেডএস