পন্ডের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র

অবৈধ দখলদারদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরকে দখল ছাড়তে হবে। অন্যথায় বিনা নোটিশে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) গাবতলী সংলগ্ন কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্প হাউজ এরিয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ পাম্পের রিটেনশন পন্ডের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি পরিদর্শনের সময় মেয়র এ হুঁশিয়ারি দেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এখনই সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমিগুলো উদ্ধার করে সেগুলোর যথাযথ ব‍্যাবহার নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে যা চলমান রয়েছে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে যথাযথভাবে তা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

নগরবাসীর কল্যাণে যা যা করা দরকার ডিএনসিসির পক্ষ থেকে তাই করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নগরের জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত জলাধার খুবই প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭১ একর জমির মধ্যে ১৬৯ একর জমিই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।

পরে ডিএনসিসি মেয়র স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীসহ পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য মানসম্পন্ন আবাসনের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন ‘গাবতলী পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস’ পরিদর্শন করেন।

এ সময় মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘২২১ কোটি টাকা ব‍্যয়ে ১৫ তলা বিশিষ্ট গাবতলী পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাসের চারটি ভবন ছাড়াও চার তলাবিশিষ্ট একটি স্কুল ভবনও নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দাসহ থাকার কক্ষ সংবলিত ৭৮৪টি ফ্ল‍্যাটের প্রত‍িটিতে একটি করে পরিবারের আবাসনের সুব‍্যবস্থা থাকবে।

এএসএস/এফআর