আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের কোনো টিকা আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তবে টিকার জন্য রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ করছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সবার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। আমরা কয়েকটি ডকুমেন্ট চেয়েছি। দুই সপ্তাহের আগে কিছু পাওয়া যাবে না। চীন, রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র সব জায়গায় একই অবস্থা। এখানে কিছু কাগজপত্র ঠিক করতে হবে এবং জাহাজীকরণের ফলে দুই সপ্তাহের আগে কিছু হবে না। এটা রিজনেবল টাইম।’

রাশিয়া ও চীন থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘সব কিছু এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করবে। আমরা যোগাযোগ করে দিয়েছি এবং এখন টিকা কবে, কীভাবে আসবে দাম কত হবে সব কিছু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন। সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে কোনো দেশ থেকে টিকা আমদানির অনুমোদন দিয়ে রেখেছেন। আমরা যেখান থেকে পাই সেখান থেকেই আনব।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, আগামী তথা মে মাসে সেরাম থেকে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে। ভারতের বাইরেও টিকার জন্য রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ।

এদিকে, মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মে মাসেই আসছে রাশিয়ার টিকা টিকা স্পুটনিক-৫। আপাতত ৪০ লাখ ডোজ আসার সম্ভাবনা আছে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড নামের টিকাটি করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পর্যন্ত করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬১৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ জন। তবে ভারত থেকে টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকার অন্য চীন, রাশিয়া থেকেও টিকা আনার জন্য যোগাযোগ করছে। যদিও চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে আরও টিকা পাওনা রয়েছে বাংলাদেশ।

এনআই/এফআর