চট্টগ্রামে আইনজীবীকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা, গ্রেফতার ২
চট্টগ্রামে আইনজীবীকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে নারীসহ দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের জিম্মায় থাকা আইনজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া প্রতারকরা হলেন : জোবাইদা সুলতানা হীরা ওরফে সোনিয়া (২৫) ও ইমরান (২৮)। এছাড়া উদ্ধার হওয়া আইনজীবীর নাম এস এইচ এম হাবিবুর রহমান আজাদ (৫২)।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে আগ্রাবাদ মৌলভীপাড়া ইউসুফ হাজীর বাড়ি একটি ভবনের নিচ তলার কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সেই ঘর থেকে জিম্মি অবস্থায় অ্যাডভোকেট এস এইচ এম হাবিবুর রহমান আজাদকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার সোনিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। ইমরানও তিন মামলার আসামি।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
বিজ্ঞাপন
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সোনিয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের প্রধান। তার গ্রুপে আরও চারজন সদস্য রয়েছে। সোনিয়া প্রেমের অভিনয় করে ছেলেদের নিজ ঘরে নিয়ে আসে। এরপর চক্রের বাকি সদস্যরা অপত্তিকর ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। যারা ছবি দেখেও টাকা দেয় না তাদের মারধর করে এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাদের হাতে এভাবে জিম্মি অবস্থায় ২০১৩ সালে একজন মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট হাবিবকে একটি মামলার বিষয়ে কথা আছে বলে চৌমুহনীতে দেখা করে সোনিয়া। এক পর্যায়ে সেখান থেকে মৌলভীপাড়ার বাসায় যেতে বলে। অ্যাডভোকেট হাবিবও তার কথায় বাসায় যান। বাসায় যাওয়ার পর তিন যুবক তাকে আটক করে ফেলে। এ সময় তারা আইনজীবীর কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় হাবিব কৌশলে থানায় ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার ও সোনিয়াকে গ্রেফতার করে। তবে বাকিরা পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া জানায়, গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৫০টি জিম্মির ঘটনা ঘটিয়েছে তার চক্র। গ্রেফতার সোনিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া চক্রে জড়িত প্রত্যেকেই ২ থেকে ৩ মামলার আসামি।
কেএম/এসকেডি