করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের কারণে সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা আটকে আছে। এতে বয়সজনিত জটিলতায় অনেক চাকরিপ্রার্থী ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। চাকরিপ্রার্থীদের এ ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ মে) ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনায় বিধিনিষেধের কারণে চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে চেষ্টা করব। বয়সটা যাতে ছাড় দেওয়া হয় সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আমরা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে বয়সে ছাড় দিয়ে সেই সময়টা পুষিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেবো।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যে সময়টা তাদের নষ্ট হয়েছে, যখন যে সময় বিজ্ঞপ্তি হওয়ার কথা ছিল, আগের সময় ধরেই পরবর্তীকালে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। 

এর আগে গত বছর করোনা মহামারিতে সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। ওই বছর ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী ৫ মাস পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। তৃতীয় ধাপে এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপর ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৭ এপ্রিল দুপুরে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এসএইচআর/এসকেডি/জেএস