ঈদযাত্রা ঠেকাতেই ছুটি শুরু একদিন পর
দেশের ফেরিঘাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়
নিয়মানুযায়ী আগামীকাল বুধবার (১২ মে) থেকেই ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মানুষের ঈদযাত্রা ঠেকাতে তা একদিন পেছানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে শনিবার (১৫ মে) পর্যন্ত তিন দিন থাকছে ঈদের ছুটি।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। এবার মাসটি ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদুল ফিতর হবে বৃহস্পতিবার। আর ৩০ দিনে শেষ হলে শুক্রবার হবে ঈদ।
বিজ্ঞাপন
নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিন হিসেব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। এক দিন বাড়লে ছুটিও একদিন বাড়ে। সে অনুযায়ী বুধবার থেকে ঈদের ছুটি থাকার কথা ছিল। তবে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে এক দিন পর এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এবারের বিষয়টি তো ভিন্ন। সম্ভব হলে আমরা শুধুমাত্র এক দিন ছুটি দিতাম। আমরা তো চাচ্ছি না, মানুষ চলে যাক। সে জন্য বুধবার নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই দেশের বাড়িতে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়, অনেকেই কর্মস্থলে আছেন। যারা যাচ্ছেন, এক সপ্তাহ পর প্রভাব আসবে। যারা বাবা অথবা মায়ের জন্য কেনাকাটা করে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন, তারা বাবা-মাকে সংক্রমিত করার ঝুঁকিতে ফেলছেন।’
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ১৬ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকবে। গত ৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।
এসএইচআর/এফআর