ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগর পিতা হিসেবে নয়, নগরবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, সেবক হিসেবেই থাকতে চাই।

শুক্রবার (১৪ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল, টঙ্গী ডাইভারশন রোডের পাশে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও আনসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করায় তিনি ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।

আতিকুল ইসলাম ওই তিনটি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও আনসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে তার পক্ষ থেকে উন্নতমানের খাবারসহ শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।

এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার জন্য এই উপহার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পরিবারের সদস্যসহ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে গিয়ে ডাক্তার ও পুলিশসহ যেসব সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী জীবন উৎসর্গ করেছেন মেয়র তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং সবার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্যই সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরি এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট ডিএনসিসির একটি বিপনিবিতানকে এক হাজার শয্যার দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড-১৯ হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৪টি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার যদি এগুলোকে হাসপাতাল বানিয়ে চিকিৎসা সেবায় ব্যবহার করতে চায় তাহলে তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান, প্রতি তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন। নগর শুধু সরকার, মেয়র কিংবা কাউন্সিলরের একার নয়। নগরসহ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার, এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমানো এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে ডিএনসিসির মাস্ক পরি কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। সবাই মিলে একে সফল করতে হবে। প্রচলিত আইন, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার কারণে এরইমধ্যে অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিংমল এবং কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ৬৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে, তাই ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে আরও কঠোর হয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। নিজের পরিবার, শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সবাইকেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

এএসএস/জেডএস