করোনা ওদের ঈদের আনন্দ কেড়েছে
ধনী-গরিব নির্বিশেষে ঈদ সবার। ঈদের আনন্দ সবার মাঝেই ছড়িয়ে পড়ুক সমান ভাবে। সাধারণভাবে মানুষের চাওয়া এমন হলেও করোনাকালের এই ঈদ একবারে ভালো কাটেনি নিম্ন আয়ের মানুষের।
তাদের একটাই কথা চলমান বিধিনিষেধের কারণে ঈদের আনন্দ ছুতে পারেনি তাদের। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে কেটেছে তাদের এই ঈদ।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ মে)রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন আয়ের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে জানা গেছে এমন কথা। সিএনজি চালক, পান-সিগারেট বিক্রেতা ও মাছ বিক্রেতারা (নিম্ন আয়ের) বলেন, লকডাউনের কারণে রোজগার কম হওয়ায় পরিবারের লোকজন নিয়ে চলতেই কষ্ট হচ্ছে।
ঈদের দিনটাও কেটেছে বাকি দিনগুলোর মতো।
সিএনজি চালক ফজলুল হোসেন বলেন, ঈদটা অনেক কষ্টে কেটেছে। বাড়িতে ৭ জন মানুষ। তাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। এবারের ঈদের কথা বলে তো কোনো লাভ নেই। আমাদের মতো মানুষের আবার কিসের ঈদ? ২০০ টাকার ভাড়ায় যাওয়ার পর প্যাসেঞ্জারের কাছে বকশিস চাইলে তারাও বলে লকডাউনে কামাই নেই।
বিজ্ঞাপন
দু’মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি পড়েছে বলেও জানান এই সিএনজিচালক।
কথা হয় পান-সিগারেট বিক্রেতা নাসির মৃধার সাথে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিসের ঈদ? ঈদ কিভাবে কাটাব? লকডাউনের কারণে বেচাকেনা নেই। পরিস্থিতি তো খুব খারাপ। পরিবারে ৫ জন লোক আছে, তাদের নিয়ে খুবই কষ্টে চলছি। গত ঈদে কিছু সহযোগিতা পেয়েছিলাম। এবারের ঈদে তাও পাইনি।
ঈদ নিয়ে একই অবস্থার কথা জানান মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, এবারের ঈদটা অনেক কষ্টের মধ্যে কেটেছে। বউ-ছেলেকে নতুন কাপড় দিতে পারিনি। ঈদ কেটেছে অন্যান্য দিনগুলোর মতোই।
টিএইচ/এনএফ