প্রতারক গিয়াস গ্রেফতার
গিয়াস উদ্দিন
সিআইডি কর্মকর্তা সেজে ২০১৫ সালে এক মানব পাচারকারীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন গিয়াস উদ্দিন। সেই মামলায় ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলাটি প্রত্যাহারের চিঠি আসে। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেই চিঠিও ভুয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর ও সিল জাল করে এটা করেছিলেন প্রতারক গিয়াস।
সেই প্রতারক গিয়াস উদ্দিনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ মে) মধ্যরাতে নগরীর চৌমুহনীর ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২১ মে) ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গিয়াসউদ্দিন ভয়ঙ্কর প্রতারক। তিনি বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। ২০১৫ সালে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচানোর কথা বলে আকবর নামে মানব পাচার মামলার এক আসামির পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গিয়াসের বিরুদ্ধে করা সিআইডি পরিচয়ে চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের জন্য ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিলমোহরসহ একটি চিঠি সিআইডি চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আসে। পরে তদন্ত করে দেখা যায় এটিও ভুয়া। এই ঘটনায় খুলশী থানায় গিয়াসকে আসামি করে ২০১৬ সালে আরেকটি মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, গিয়াস বর্তমানে মাদক কারবারে জড়িত। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কেএম/ওএফ