রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে কিশোর গ্যাং ‘পাটালী’ গ্রুপ ও ‘অ্যালেক্স ইমন’ গ্রুপের ১১ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র‍্যাব-২। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বড় ছুরি, দুটি লোহার তৈরি ছুরি ও চারটি ফোল্ডিং জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে পিয়াল (২২), মো. আলী হোসেন (১৯), মো. চাঁন মিয়া (১৯), মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে আকাশ (১৬), মো. রনি খান (১৪), মো. আরিফ হোসেন ওরফে রিফাত (১৪), মো. আবির(১৩), মো. রনি (১৬), মো. সাগর (১৫), মো. রায়হান (১৬) ও মো. রবিউল ইসলাম (১৫)।

রোববার (২৩ মে) র‍্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ রোডের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের ২নং গেইটের সামনে ও বেড়িবাঁধ এলাকার আজিজ খান রোডে র‍্যাব-২ এর পৃথক পৃথক অভিযানে পরিচালনা করে কিশোর গ্যাং এর ‘পাটালী’ গ্রুপের ৩ জন সদস্য ও ‘অ্যালেক্স ইমন’ গ্রুপের ৮ সদস্যকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে পথচারীদের ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যেত। আটকরা কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করেছে, ছিনতাই ছাড়াও মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়ায়-মহল্লায় মারামারি ও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের পক্ষে পেশীশক্তির মহড়া দেওয়াসহ নানা অপকর্মে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, আটকরা প্রায়ই এলাকায় প্রভাব বিস্তারে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে। এছাড়া নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে মারামারিসহ নানা সশস্ত্র সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ত।

আটকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এমএসি/ওএফ