ইনোভেশন-অটোমেশন নিয়ে হাই-টেক পার্কের সাথে কাজ করবে থিংক গ্রুপ
ইনোভেশন ও অটোমেশন নিয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করবে থিংক গ্রুপ। সোমবার (৪ জানুয়ারি) হাই-টেক পার্ক বিভাগে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এবং থিংক গ্রুপের পক্ষে এর পরিচালক ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিকুর তানিম সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, থিংক গ্রুপ মূলত একটি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান যারা স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিক্ষা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করে থাকে। সমঝোতার আওতায় থিংক গ্রুপকে কালিয়াকৈরে ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’তে এক একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। থিংক গ্রুপ এই পার্কে আইওটি ডিভাইস উৎপাদন করবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম বলেন, কালিয়াকৈরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’ দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাই-টেক পার্ক। ৩৫৫ একর জমিতে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বর্তমানে ৪২টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ১৪টি কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন এসেম্বলিং ও উৎপাদন, অপটিকাল ক্যাবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা-সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন পার্কে এ পর্যন্ত ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে ও প্রায় ১৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। থিংক গ্রুপ দ্রুত এই পার্কে কাজ শুরু করবে বলে আশা করি।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, থিংক গ্রুপ যেসব ক্ষেত্রে বিশেষায়িত সেবা প্রদান করে থাকে তার মধ্যে রয়েছে হোম অটোমেশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, আর এন্ড ডি সেবা ইত্যাদি। এই প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয় পণ্য ও সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে আইওটি বেইসড এনভায়রনমেন্ট মনিটরিং সিস্টেম, হাইব্রিড ইনভার্টার, সোলার চার্জার, ইন্টেলিজেন্ট সারভেইল্যান্স সিস্টেম, আইওটি বেইসড ফায়ার ফাইটিং অ্যান্ড হার্ডওয়্যার মনিটরিং সিস্টেম ইত্যাদি।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও থিংক গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/ওএফ