এলডিসি থেকে উত্তোরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনাভিত্তিক উত্তরণ প্যাকেজের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য করোনার টিকার সহজ ও বাধাহীন প্রাপ্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২৪ মে) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এসব কথা বলেন।

এলডিসি থেকে উত্তোরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনাভিত্তিক উত্তরণ প্যাকেজের ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এটি করা না হলে করোনার প্রভাব এবং এলডিসি সংশ্লিষ্ট সহায়তা পদক্ষেপের অভাবে দেশগুলোর নিচের ধাপে পিছলে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলো দারিদ্র্য ও অসমতা, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈদেশিক ঋণ, অভিবাসন ও রেমিট্যান্স বিষয়ক যেসব বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

করোনার বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এখন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সর্বোচ্চ প্রাধিকার হচ্ছে করোনার টিকার সহজ ও বাধাহীন প্রাপ্তি। তিনি টিকা প্রাপ্তির ওপর জোর দিয়ে বলেন, যদি টিকার বিষয়টি এখনই সমাধান করা না হয়, তবে সামনের বছরগুলোতে স্বল্পোন্নত দেশগুলো তীব্র মানবিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে নিপতিত হবে।

জাতিসংঘের পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভাটি যৌথভাবে আহ্বান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন জানায়, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম সম্মেলন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হবে জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ সম্মেলন। এই সম্মেলনে এলডিসির পরবর্তী কর্মসূচির জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক কম্প্যাক্ট গৃহীত হবে, যা দেশগুলোর আশু ও দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত উভয় ধরনের সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সম্মেলনটির কো-চেয়ার হিসেবে টেকসই উত্তরণ ও উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পদক্ষেপসহ বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের স্বীকৃতি দেয়।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বৈশ্বিক সভাপতি হিসেবে মালাওয়ির রাষ্ট্রপতি ম্যাককার্থি চাকওয়েরা ইভেন্টটিতে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন এবং কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া কী-নোট স্পিকার হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন- সম্মেলনটির স্বাগতিক দেশ কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ্ আল-মুরাইখি ও রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিজ্ ফেকিতামইলোয়া কাটোয়া উতয়কামানু।

এনআই/এসএসএইচ