স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে সরকার ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

বুধবার (২৬ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রিজিওনাল সেন্টার অন আরবান ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের (আরসিইউডব্লিউএম) গভর্নিং বোর্ড মিটিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। 
 
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। 
 
এ জন্য মন্ত্রী আরসিইউডব্লিউএম থেকে তথ্য-প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন। আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর প্রসঙ্গে গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মো. তাজুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলের অনেক দেশে পানি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পানি রয়েছে। আবার কিছু দেশে প্রয়োজনের তুলনায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল দেশের পানির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। 

সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ এবং আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড নির্মাণ সংক্রান্ত ধারণাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরসিইউডব্লিউএম সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে রাশিয়া রোমানিয়া এবং গ্রিসের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে এ ধরনের কানেক্টিভিটি থাকলে আমাদের এ অঞ্চলে কেন থাকবে না? এ অঞ্চলের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে আঞ্চলিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ নদী-মাতৃক এবং হিমালয়ের ডাউনস্ট্রিমে থাকায় পানির খুব একটা সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান বাংলাদেশে ৯৮ শতাংশ মানুষ পানির আওতায় এসেছেন। এছাড়া ৫০ শতাংশের বেশি ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করছেন।

ইরানের জ্বালানিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ইরাক, মিশর, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি এবং তুরস্কসহ ১৮টি দেশের পানি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রতিনিধিরা বোর্ড সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এসএইচআর/আরএইচ