প্রতীকী ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৬৭০ জনে।

একই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯৯১ জন। এর মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৪৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৫৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৬টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৪০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৮০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫টি নমুনা।

মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, চারজন নারী। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ জন, বাড়িতে একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ রোগে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন।

দেশে গতকালের পরিস্থিতি

সোমবার (৪ জানুয়ারি) তার আগের ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ রোগে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সে সময় ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাত হাজার ৬৫০ জনে।

ওই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন আরও ৯১০ জন। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ৯২৯ জনে দাঁড়ায়।

টিকা এলেও প্রস্তুতিতে লাগবে আরও ২ মাস

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্যে ১৩৭ পৃষ্ঠার নীতিমালা জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নীতিমালায় বলা হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন দেশে আসার পরও প্রয়োগের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে অতিরিক্ত আরও ২ মাস।

মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এই নীতিমালা জমা দেওয়া হয়।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, শুরুর ধাপে ৩ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে এ সংখ্যা। দ্বিতীয় ধাপে ৭ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ১১-২০ শতাংশ মানুষকে দেওয়া যাবে টিকা। পর্যায়ক্রমে ২১-৪০ শতাংশ, ৪০-৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে।



জেডএস