খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবীরা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উপকূলীয় সাত জেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবারের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

মঙ্গলবার (১ জুন) রেড ক্রিসেন্ট থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, দেশের সাত জেলার ১৮টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাইজিন কিট বিতরণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে চিড়া, চিনি, বিস্কুট, পানি ও খাবার স্যালাইন।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সোসাইটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম, ন্যাশনাল ডিজাস্টার ওয়াটসন রেসপন্স টিম এবং ইউনিট ডিজাস্টার রেসপন্স টিম টিমসহ উপকূলীয় ১৪টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের প্রায় ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ইউনিট কর্মকর্তাদের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাতটি জেলায় (ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পটুয়াখালী) ইমিনেন্ট ডিআরইএফ এর আওতায় পূর্বাভাসভিত্তিক কার্যক্রম (এফবিএ) অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়াও যেসব পরিবার পানিবন্দি রয়েছে তাদের তাৎক্ষণিক খাদ্য চাহিদা মেটাতে শুকনা খাবার, স্যালাইন ও খাবার পানি সরবরাহের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ (সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার) দেওয়া হয়েছে।

সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগের ফলে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে যা সারা বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে এবং বেড়েছে দুর্যোগের মাত্রা ও তীব্রতা। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে আমরা যে অভিজ্ঞতা পেয়েছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আজ কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করি যেকোনো দুর্যোগ আমরা মোকাবিলা করতে পারব।

সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের ব্যাপক সাফল্য থাকলেও আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক, পরিবেশগত ও মানবসৃষ্ট আপদ হতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় ও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা। একইসঙ্গে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম একটি জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।

এনআই/আরএইচ