৬ নদীর পানি হিস্যা বুঝে পেতে ভারতের কাছে তথ্য চায় বাংলাদেশ
ছয় অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) বৈঠকের প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঢাকা নয়া দিল্লির কাছে এই ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি দেশটি শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে কী পরিমাণে ব্যবহার করছে সেটার পরিমাণ জানতে চেয়েছে।
পানিসম্পদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র বলছে, দুই দিনব্যাপী বৈঠকের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার পর বৈঠকটি শুরু হয়। প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা আলোচনা শেষ হয় প্রথম দিনের বৈঠক। বুধবার (৬ জানুয়ারি) বৈঠকের শেষ দিন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, যৌথ নদী কমিশনের সদস্য পর্যায়ের বৈঠকে ছয় অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ঢাকা এসব নদীর ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে ভারতের কাছ থেকে আরও তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ছয় অভিন্ন নদীর আলোচনা ছাড়াও বৈঠকে গঙ্গা পানিচুক্তি নিয়ে রুটিনমাফিক আলোচনাও স্থান পেয়েছে বলে জানান ওই কর্তকর্তা।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এ বৈঠকে পানিবণ্টন নিয়ে কোনো সুরাহা হবে না। তবে চলতি বছরের মার্চে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের শীর্ষ বৈঠকের আগে ছয়টি অভিন্ন নদীর সমস্যার সমাধানে পৌঁছানোর বিষয়ে আলোচনা ও তথ্য-উপাত্ত বিনিময় হতে পারে।
ছয় অভিন্ন নদী হচ্ছে- মুহুরি, খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, মনু ও গোমতী।
গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে ছয় অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ছয় নদীর সমস্যা দ্রুত সমাধানের তাগিদ দেন।
সেদিন দুই শীর্ষ নেতার সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, তিস্তা বাদে অন্য ছয় নদীর সমস্যার বিষয়ে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশন বৈঠক করবে।
ছয় অভিন্ন নদী নিয়ে দুই শীর্ষ নেতার তাগিদের পর ১৮ দিনের মাথায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এটি তিন বছর পর দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত জেআরসি বৈঠক।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঝুলে থাকা ছয় অভিন্ন নদীর হিস্যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন তথা আগামী নতুন বছরে সুরাহা হবে বলে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
হাইকমিশনার জানান, তার দেশ ছয় নদীর পানিবণ্টন নিয়ে খুব দ্রুতই সমাধানে পৌঁছাতে চায়। আমরা চাই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপনের মধ্যে এটা হোক।
১৯৯৭ সাল থেকে অভিন্ন ছয় নদী নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এ নিয়ে নদীতে পানিপ্রবাহের তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করে গেছে দুই দেশ। গত বছরের শেষের দিকে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পরও নতুন করে হালনাগাদ তথ্য বিনিময় করা হয়েছে।
এনআই/ওএফ