পরিবেশ সংরক্ষণে যুব সম্প্রদায়কে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন
জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে দেশের সর্বস্তরের জনগণ বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রজন্মের সবার সমবেত এবং শক্তিশালী প্রচেষ্টাই পারে প্রতিবেশকে অক্ষুণ্ন এবং সমৃদ্ধ রেখে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। হারানো প্রকৃতি ও প্রতিবেশকে পুনরুদ্ধারের মাধ্যমেই আমরা এ ধরিত্রীকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হব। প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারই আজকের প্রজন্মের একমাত্র অঙ্গীকার হওয়া উচিত।
রোববার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শাহাব উদ্দিন বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, বনসম্পদ উন্নয়ন ও সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর বাস উপযোগী টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ, মাটিদূষণসহ সার্বিক পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্লাস্টিক, কঠিন বর্জ্য, রাসায়নিক ও বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। নদ-নদী ও জলাশয় দূষণ রোধ, নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে, বায়ুদূষণকারীদের বিরুদ্ধে, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে, অবৈধভাবে পাহাড় ও টিলা কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৭ হাজার ৭০২টি দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪শ ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে ২শ ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বকেয়াসহ আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এক যুগে আটটি জাতীয় উদ্যান, ১৮টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, তিনটি ইকোপার্ক, একটি উদ্ভিদ উদ্যান, একটি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া এবং দুটি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকাসহ মোট ৩৩টি রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিরল জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রতিবেশ সংরক্ষণে এবং হালদা নদীকে দূষণমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক ঘোষিত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকাগুলোর প্রতিবেশ ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় সমাজভিত্তিক অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। জলাভূমি ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অধ্যাপক ইমদাদুল হক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কামালউদ্দিন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএসএইচ