দেশে নদী দূষণ ও দখল নিয়ে নানা কথা হয়, বড় বড় প্রতিবেদন হয়। কিন্তু নদীর অজানা গল্প, নদীর পাড়ের মানুষের গল্প সামনে আসে না। তাই, নদীর দখল-দূষণসহ নদী ও পাড়ের মানুষের অজানা গল্প সবাইকে জানাতে দেশে প্রথমবারের মতে যাত্রা শুরু করল রিভার টকিজ।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের দূষণ বিরোধী অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের আওতায় এই রিভার টকিজের যাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুন) বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর মিলনস্থল বসিলার মাদবরের ভিটায় এই রিভার টকিজের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে থাকা নদীগুলো নিয়ে মোট ৯টি পর্ব করা হবে। পরবর্তীতে দেশজুড়ে চলবে রিভার টকিজ। রিভার টকিজে নিয়মিত বিশেষজ্ঞ ছাড়াও নদীর পাড়ে বসবাসকারী প্রবীণদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হবে।

রিভার টকিজের আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় বসবাসের অনুপযোগী নগরীতে স্থান করে নিয়েছে। শহরটি সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ও জলাবদ্ধতার সঙ্কট নিরসনের জন্য ভীষণভাবে সংগ্রাম করছে। বৈধ আইনি কাঠামো অনুসরণ না করে নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে এবং নদী দূষণকারীরা তাদের আবর্জনা ফেলে দিচ্ছে নদী তলদেশে। ফলে বছর শেষে নদীসহ জলজ জীবনের বেঁচে থাকার জন্য নদীর পানিতে কোনো দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকছে না। 

বক্তারা আরও বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর প্রায় ৫০ ভাগ দূষণের কারণ হাজারীবাগের দুই শতাধিক ট্যানারি শিল্প ও শ্যামপুরের এক শতাধিক ডাইং কারখানা। রাজধানীর সঙ্গে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের বৃহত্তম কেন্দ্র হলো বুড়িগঙ্গার সদরঘাট নদীবন্দর। প্রতিদিন কয়েকশ নৌযান সদরঘাট থেকে চলাচল করে। সদরঘাট এলাকায় নৌযান থেকে নির্গত দূষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

রিভার টকিজের প্রথম পর্বের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিকল্পনাবিদ সারাফ আনজুম দিশা প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ